Posts

Showing posts from January, 2023

প্রাচীন প্রবাদ -২ : আকাশ গঙ্গোপাধ্যায়

Image
প্রাচীন প্রবাদ -২  ১ এখনই সঙ্গম ছেড়ে উঠে যাচ্ছি যেহেতু কবিতা আদপে পিচ্ছিল খুব, ভুল খাতে গড়িয়ে না দিয়ে পাতায় তুলব ভাবি তুলে রাখব ক্ষোভের বালিশে ব্যক্তিগত অন্ধকার বারোয়ারি মঞ্চে উঠে, পড়ে যতখানি আলো পাব, সঙ্গম সে তৃপ্তি দেবে না ২ দুপুর উলঙ্গ ডালে ঝুলে আছে লাজুক মাদুলি মেয়েটি পোশাক খুলতে দ্বিধা করে কাছে ডাকি, বলি শব্দ সমুদ্র আঁকে যদি তাতে রক্ত দেন কবি সমুদ্র রক্তিম হয়, বীর্য হয় নীলাভ বাদামি তোমাকে শেখাতে পারি  এসমস্ত জাদুবিদ্যা, ছল শর্ত? কেবলই জেনো, দুজনের পদ্যজাত ঢেউ তোমাকে মাতৃত্ব দেব, অমরত্ব কেড়ে নেব আমি ৩ মাত্রা ছাড়িয়ে যাচ্ছে  হাফ মাত্রা, অথচ নাহলে লেখাতে তেমন কোনও যৌনতা থাকবে না যাকে কল্পনায় তুলে এনে ছেলেটি স্নানের ঘরে আজ জানলা বন্ধ রেখে জল ঢালবে শুকনো নালিতে মেয়েটি জানতে পেরে  প্রেমিকের গোপন চিঠিতে আয়নায় উজ্জ্বল হবে  মায়ের স্নেহের ডাকে দেরি হবে উত্তর দিতে ৪ যেহেতু সঙ্গম থেকে উঠে এসে তাকেই লিখেছি যুক্তি সাজালে আমি অপরাধী কেননা বাজারে, কবিতা ছেড়েছি ভেবে  নিজেদের শয্যাদৃশ্য লিখে পাঠককে দিয়েছি, তাতে ঘটা করে প্রথম পাতায় নিজের নামের পাশে দিনক্ষণ জানিয়ে দিয়েছি মেয়েটি লাজুক তাই আ

ভালো থেকো নিশীথ অবশেষ — ৮ ম পর্ব : জয়দীপ চট্টোপাধ্যায়

Image
অপ্রতিম বা কৃষাণু,  কেউই  বুঝতে পারছিল না-- এই ডাক্তার আসলে কোনোভাবে হালকা চাপ দিয়ে ব্যাপারটা মিটিয়ে নিতে ডেকেছে, না ক্রমশ ময়াল সাপের মত পেঁচিয়ে যাচ্ছে ওদের। কোনোভাবে কায়দা করে একটা সেটলমেন্টের দিকে এগোবে না বড়ো বিপদ তৈরি করবে। সত্যিই কথার মধ্যে অসঙ্গতি এসে যাচ্ছে… মনে হচ্ছে বলে দেয় ‘এইসব কিচ্ছু না, আসল ঘটানাটা এইরকম।’ কিন্তু এখন একবার ভার্শান চেঞ্জ করা মানে স্পষ্ট করে দেওয়া যে আরো কিছু ঘটে থাকতে পারে, যা গোপন করা হচ্ছে। চাপের মুখে এমন আরো ভার্শন বেরোবে সময়ের সঙ্গে। এক একজন এক একরকম তথ্য দেবে। আরো অসঙ্গতি ধরা পড়বে, আরো রহস্যময় হয়ে উঠবে ব্যাপারটা। বিশেষ করে, যেখানে পেশেন্ট নিজেই ঠিক করে  নিজের কথাটা বলতে পারছে না এখনো।        ডঃ সায়ক দত্ত এই দুজনের চুপ থাকাটা যেন মনে মনে উপভোগ করছেন। ‘কমন ম্যানস মোমেন্ট অফ গ্লোরি’। দু সেকন্ড, পাঁচ সেকন্ড, দশ সেকন্ড– নীরবতার দীর্ঘায়িত হওয়ার মধ্যে একটা স্যাডিস্টিক আনন্দ থাকে, যখন প্রতিপক্ষর পালানোর পথ থাকে না, সাজিয়ে উপস্থাপন করার মত যুক্তি ফুরিয়ে যায়।  অপ্রতিম আরো একবার নিজেকে ভেতর ভেতর গুছিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করল। ঠান্ডা মাথায় যতটা সামলানো যায়।

ঘুম : গালিব উদ্দিন মণ্ডল

Image
উড়নচণ্ডী বলে একটা বদনাম ছিলই উড়নচণ্ডী বলে একটা বদনাম ছিলই। উড়ে গেছে ঘুম। উড়ে ঘুমের শিকড় কি উড়িষ্যায় ? কি জানি । গোপাল উড়েকে জিজ্ঞেস করে বলব। আপাতত দুপুর। আপাতত শীতঘুম। ঘুম তো এখনও ওষুধনির্ভর। আর ঘুম একটি হোমিওপ্যাথির পাখি। আমরা ওকে হোমিওপাখি ডাকি লোকে বলে হোমিওপ্যাথিকে হোমিওপাখির মতোই দেখতে। তেত্রিশ নম্বর পাতায় যতীনবাবুর দাওয়াখানা। সব রোগের একটাই ওষুধ। ‘ঘুমিওপ্যাথি’। এদিকে আমাদের 'ঘুম ঘুম ক্লাসরুমে মাশরুম চাষ হচ্ছে। আমরা চাষ করি আনন্দে। সানন্দার পাতা মুখে রেখে ঘুমোচ্ছে উনিশ কুড়ি । আমি তো খাড়াই ছুরির উপর পিঠ পেতে। উপুড় হয়ে। দিব্যি ঘুমোতে পারি। শুধু আমি নয়। হিসেব কষে দেখেছি এই শবাসনে আমরাই সংখ্যাগুরু যাদের সংখ্যালঘু বলে চালিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এই হিসেবের ক্লাসটা টুকরো টুকরো। সেখানে ধর্ম দিয়ে গসাগু জাতপাত দিয়ে লসাগু । আর রাজনীতি দিয়ে খিচুড়ি । না খিচুড়ি পুরনো চালে। হালে বিরিয়ানি। চিকেন। মুরগির লাথি খেতে খেতে ঘুমিয়ে পড়ি।  ঘুমের খাঁচায় আপনি কি দেখেছেন আপনিও এক বিরাট মুরগি হয়ে যাচ্ছেন। ক্রমশই আপনার চর্বি বাড়ছে। মাথাটা আকাশ ছাড়িয়ে যাচ্ছে।  আর সেবার একটি

আইসক্রিম কথা : সোহম ভট্টাচার্য্য

Image
আইসক্রিম শব্দটি শুনলে কার না জিভে জল আসে?সে শীত, গ্রীষ্ম , বর্ষা যাই হোক  না কেন আইসক্রিমের অবদান কখনো কমবার নয়।ছেলে থেকে বুড়ো,সকলের এক বাক্যেই পছন্দ এই একটি নাম।বিভিন্ন ব্র্যান্ডের,বিভিন্ন স্বাদ,গন্ধ,ফ্লেভর এর আইসক্রিম বাজারে পাওয়া যায়।গরমের দিনে আইসক্রিম মুখে পুড়ে দিলেই যেন রাজ্যের শান্তি মনের মধ্যে ধরা দেয়। তবে,মাঝে মাঝে প্রশ্ন জাগে কীভাবে এলো এই লোভনীয় বস্তুটি?কারই বা মাথায় এল এই লোভনীয় আইডিয়া?  (ইউ কে তে এক আইসক্রিম বিক্রেতা, ১৯৩৫,  ছবি: ইন্টারনেট)  তাহলে চলুন জানা যাক কি করে শুরু হল এই মন মাতানো খাবারের জন্ম পরিক্রমা।আইসক্রিম আবিষ্কারের ইতিহাস জানতে গেলে ফিরে যেতে হবে খ্রিস্টপূর্ব দ্বিতীয় শতাব্দীতে।আইসক্রিম আবিষ্কারকের বা আবিষ্কারের কোনও নির্দিষ্ট সন, তারিখ নেই। তবে এর উৎপত্তির প্রসঙ্গে নির্দিষ্ট কিছু মত আছে।  ৬২ খ্রিঃ(আনুমানিক) রোমের সম্রাট নিরো তাঁর রাজবাবুর্চির কাছে নতুন মুখরোচক খাবার খেতে চাইলেন। বাবুর্চি তখন রাজার এক সৈন্যকে পাঠিয়ে অ্যাপেনাইন পর্বত-এর  শৃঙ্গ থেকে কিছু বরফ নিয়ে এলেন এবং এই বরফ এর সঙ্গে আঙুর,চেরি,মধু মিশিয়ে রাজাকে খেতে দিলেন। আর সেই অপূ

ধানের গন্ধে সুন্দরবন: প্রবন্ধ ১ — সুরজিৎ বেরা

Image
ধানের গন্ধে সুন্দরবন "আজন্ম ধানের গন্ধ" বইছে সুন্দরবন জুড়ে। বাদাবনের জঙ্গল হাসিল করে আবাদীকরণ হল একপ্রকার জীবন সংগ্রাম। নদীবাহিত পলিমাটির বিস্তৃত ভূভাগ নোনা হাওয়া ও লবণ জলের কারনে ধান চাষের অনুপযুক্ত। বাঁধ দিয়ে তা উদ্ধার করেন চাষিরা। বলতে গেলে সাধক রামপ্রসাদের ধারনাকে ফলপ্রসূ করেছেন তাঁরা - "এমন মানব জমিন রইল পতিত আবাদ করলে ফলত সোনা" একসময় জঙ্গলের মধ্যে সবথেকে উঁচু জায়গায় যেখানে জোয়ারের জল পৌঁছাতে পারতনা, সেখানে জঙ্গল কেটে, বৃষ্টির জল সংরক্ষণ করে ধান চাষ করত মরসুমি চাষিরা। এতে জমিদার ও তালুকদারদের স্বার্থ জড়িয়ে ছিল। প্রথমদিকে অল্প পরিমাণ জমিতে চাষ শুরু হলেও ফসলের পরিমাণ বেশি হওয়ায় চাষিরা উৎসাহিত হয় এবং পরে পরে পরিকল্পিত ভাবে জঙ্গল কেটে জমির পরিমাণ বাড়াতে থাকে। আসলে সুন্দরবনের উর্বর ভূমি চাষিদের মন কেড়েছিল। ইংরেজ রাজত্ব, জমিদার - তালুকদারদের স্বার্থে সুন্দরবনের বিস্তির্ণ অরণ্য অঞ্চল আজ আবাদ ভূমিতে পরিণত হয়েছে। বাসন্তীতে রয়েছে সব থেকে বড় আবাদভূমি। উত্তর-পূর্ব থেকে দক্ষিণ-পশ্চিমের প্রায় ১৩৮৯ বর্গমাইল সন্দেশখালি, বাসন্তী, ক্যানিং, জয়নগর, ম