Posts

Showing posts from May, 2023

ভালো থেকো নিশীথ অবশেষ : পর্ব ১১ — জয়দীপ চট্টোপাধ্যায়

Image
ভালো থেকো নিশীথ অবশেষ: পর্ব ১১  এক ঝলক ঠান্ডা বাতাস এসে মাঝে মাঝেই কাঁপিয়ে দিয়ে যাচ্ছে। অথচ ঘরের ভেতরটা এমনিতে আরামদায়ক। ঘরের এক কোণে একটা জায়গায় আগুন জ্বলছে, ফায়ারপ্লেসের মত। তার ওপর শিকে গাঁথা মাংস ঘুরছে। নিজে থেকেই ঘুরে যাচ্ছে। কীসের মাংস ঠিক বোঝা যাচ্ছে না। তবে পাখির না। কোনো ছোটো চতুষ্পদ প্রাণী। পরিবারে সকলেই শাকাহারী, কে এভাবে মাংস ঝলসাচ্ছে ঘরের ভেতর? মাংস পোড়া গন্ধটা ধোঁয়ায় ভেসে বেড়াচ্ছে। মনে হল, এখনই কাউকে ডেকে বলে ওটা ঘরের বাইরে নিয়ে যেতে। কিন্তু কাকে বলবে বুঝতে পারল না। দেখল দুটো লোক ক্যারম খেলছে বসে। ঘরে এত কম আলো, যে তাদের মুখ আলাদা করে চেনা গেল না। কিন্তু মনে হল খুব পরিচিত কেউ, অথচ...      ঘরে এই অন্ধকার ভাবটা, এই হালকা ধোঁয়া, অল্প-আলোয় দেখা দেওয়ালের ইট বেরিয়ে আসা ইন্টেরিয়র... হুক্কা বারগুলোর কথা মনে করিয়ে দেয়। হুক্কাবারের কথা মনে পড়তেই একটা মিষ্টি গন্ধ ভেসে এলো, মাথা ভারী করা হুক্কার ধোঁয়া? এমনি সময়ে সিগারেট না খেলেও বারে এলে হুক্কার নল নিয়ে বসে থাকতে একটা মজা আছে। অথচ চারপাশে তাকিয়ে সেই আসল জিনিসটাই দেখা যাচ্ছে না।  ঘরে কেবল দুটো মানুষ। ক্যারমের স্ট্রাইকারের

মৈনাক দাসের গুচ্ছ কবিতা

Image
  দু'বছর         এতদিনের আলাপ শুকনো বটগাছ প্রেম, আসতে আসতে  পাথর বাটি জমা ছাই— বছর গেছে...  পথ অতিক্রম  আরো কিছু আমার বলা হয়নি  বেশি কথা। দেবীমাহাত্ম্যম্          এই প্রথম জিজ্ঞেস করি জন্ম কী ভাবে হয় ?  কী অপূর্ব জাল  ছিঁড়ে খেয়েছে মশারি  মশাগানে'র সারেগামা মা শেখায়— শিখি , দেখি  শুশ্রূষা মাধ্যাকর্ষণ ছাড়ায়...  দূরে ভেসে আসে  গান নয়, আশা নয়....  চলছে দেবীমাহাত্ম্যম্  হেঁটে যাচ্ছে অবেলা রূঢ়ভাত  যাচ্ছে জিহ্বাকৃত আশীবিষ.... পোস্টার         পাখার আলো, আলোর হাওয়া সব দেখতে দেখতে ছিন্ন হয়ে যাই কিছু বলার থাকে না,  আটকে গেলে বলতে যাই  বলতে গেলে বলা হয় না আর কিছুই...  © মৈনাক দাস অঙ্কন: ঋতুপর্ণা খাটুয়া

অমিত পাটোয়ারীর গুচ্ছ কবিতা

Image
১ ব্যাঘ্রচন্ডী, আইসো সকালে। সুতীব্র অনল পথে...   এখনো বলোনি কেন বৃক্ষদানবেরে, সঙ্গী তাঁরে চাও?  কালোপ্রিয়, শৈশবালোক চির অভিলাষী!  প্রতিমুখ দেখে মেহেরবান, সমঅন্তে বাক্য একই;  ভুল রেখে কেন ফিরে আসো?  আমূল বদলে যাওয়া এ ভূলোক বেড়াহীন রাখি আজ,  তুমিমুগ্ধ প্রাণ এসে খেতে পাক।  তোমার অসুখ নিয়ে তাদের ভ্রমণ বুঝি এইবার চন্দ্রপথ হবে!  আমি হাঁটি। মাটি নেই, বায়ু নেই, জল...  রোদ মেখে যে যুবক আকাশ খুলেছ, চেনা মুখ;  তুমি যে দান করেছ ওরে, অমৃতকণা—  কৃতজ্ঞ আমি, তোমার দেবতারে নিজমাংসে ভোগ দিতে চাই।   ২ পথ নেই আর কোনও, ফিরে যাওয়া...    তোমারে না লেখা দিন পৃথিবীতে কেমন ঘনাবে, সে কথা  আশ্চর্য ধবল ফড়িং! জন্মসময় নুলো; জন্মের কবজি থেকে একটি কাটা হাত ঝুলে আছে                                   ... আঙুল চ্ছিন্ন হওয়া অন্য হাত আগের ঔরস আমার, ইতিপূর্ব ঈশ্বর—  এ সমস্ত ফেলে রেখে শিশুসঙ্গ, রমণীপথ তবু!  যে দ্রোণ শীতল, সে কন্ঠী অনীহাই দেবে।  হা শস্য হা শস্য  এখন আসক্ত চাই। আবাদ করুক মোহনাকাঙ্ক্ষী;  আমি নই, অসম্ভব এ ক্ষীণায়ু শরীরে।  কানাপশু রাতের বাজারে কেন ক্ষীণ!  সুফি ভ্রমর ছিল দেহে, নাওনি। ফিরিয়ে