Posts

Showing posts from November, 2022

অমিতাভ সরকারের গুচ্ছ কবিতা

Image
মনোকর্ণিকা আকাশে জোয়ারভাটা আবরণ  যুদ্ধ এ মন চলে মেঘনাদ।  স্বভাবে অভাব লাগা গ্রহণে খাওয়া দাওয়া সবটাই ওষুধই। আচারের অনাচারে পৃথিবী  রোদ ঝড় বৃষ্টিতে ঝামেলা  রাতভোর গায়ে জামা এ শীতে। ঠান্ডাটা বেশ বেশি এখানে  অসুখে না প্রাণ মান দুই যায়; জীবন গভীর ভাব আভাসে ঘুমটা দেরি সে এলে ক্ষতি কি! আমির জবানবন্দি  হারিয়ে যাচ্ছি। আমাদের পথ চলা তোমায় দেখে থমকে দাঁড়ায়। কথা বলতে গিয়ে কিছু ভাবে।ভুলগুলো হুলস্থূল করে পাহাড়ের দূর উপত্যকা।পাড়ি দিই ভাবনার খুশি জলতল। গভীরতা এইখানে অনেকই। হেরে গিয়ে জিতে ফেরা এ বিজন ভালোবাসা উলুবনে মুক্ত ছড়ায়। চাওয়া পাওয়া তবু শেষ হয় না। ফিরে আসি তুমি-আমি বারবার। সব দিয়ে কিছু পাওয়া যায় না।    জীবনের এই খোঁজ অধরা।  কালান্তরের অস্তরাগে যাপনার রঙ্গমঞ্চে আজকে নাটকের শেষ দিন। হল ভর্তি দর্শক,শো হাউজফুল। সব টিকিট নিঃশেষিত। আসা, দেখা, পাওয়া না-পাওয়ার পাগলা ঢেউয়ের আসমানী দীঘল জলস্রোতে বইয়ের পাতাগুলো বেশ ভারী লাগছে,কথা বলছে বিকেলের রোদ খোলা কামনার শুষ্ক মেঠো বাতাস,হাত ধরছে আনন্দের পোশাকি উপকরণ,সময় নামছে আবার পথের ক্লান্ত ঘাটে।নৌকা ছাড়বে বলে...। সবাই উঠে গেছে। শুধু লেখককে আর পাওয়া যাচ

গুচ্ছ কবিতা : চিরঞ্জীব হালদার

Image
প্রত্নপাঠ আপনি যদি তেমন হন  আপার ডেড সেন্টারে গিয়ে জিজ্ঞেস করুন  মদীয় গ্রামটি আমলকি দিয়ে ঘেরা কিনা ধরে নিতে পারি আপনার সৌন্দর্যের পরিধি শুরু হবে লোয়ার ডেড সেন্টার থেকে যদি আপনার বন্ধু কালিদাস হন যদি হালের ক্যালকুলাস পাগল ভুট্টা প্রেমিক বিনয় মজুমদার হন এসব কথা আমার ললিত মাস্টারকে জিজ্ঞেস করতেই বলল  তেনার শ্যালিকাটির সাথে বন্ধুত্ব পাতাতে  এখনো আমি পিসতুতো দিদির লুডো খেলার বালক সহচরটাকে খুঁজে বেড়াই  যদি এইসব অলিখিত প্রাকৃত প্রশ্নের উত্তর পাওয়া যায় জানু ভেদ করে উঠে আসা মিথুন পোকাটা এখনো তাঁবু গেড়ে মগ্ন আছে অনাবৃত আলোয়  বিগত যৌবনা সামর্থ সুন্দরীর রুমালের গিঁট ও তার কিউব রহস্য অবলোকিতেশ্বর আজ পাঠ করবেন কলরব মহাশূন্যতা তোমাকে প্রণাম স্তিমিত তমিশ্রার ভেতর গূঢ় প্রাণ তোমাকে প্রণাম পরহিতভদ্র অথচ কৃপণ আঁধার তোমাকেও আভূমি প্রণিপাত গলিত মৃতের কাছে শকুনের লোভনীয় উড়ান তুমিও প্রেমিকা অবতারধর্মী তোমার ছত্র এ বিশ্বের তাপিত হলাহল মহাশূন্যের অভ্যন্তরে জাগরুক প্রাণ ও তার নিজস্ব বিনিময় শূন্য আপাতশূন্য মহাশূন্য আমি আপাতআমি মহাআমি  ঘর দ্বার দেউল পন্থা হট্ট শকট আমি আমি মহাআমি স্মার্ত

সায়্যিদ লুমরানের গুচ্ছ কবিতা

Image
ভুলভুলাইয়া হে নির্বোধ লুমরান,  তুমি যে গাইড ছাড়াই তাঁর হৃদয়ে প্রবেশ করেছ  এখন তো আর বেরোনোর পথ খুজে পাবে না; মৃত্যুর ফেরেশতা ব্যতীত আর কেউ কি আছে তোমায় বাহিরে আনতে পারে! শুদ্ধতম  প্রেম কামের অপর নাম শুদ্ধতম  প্রেমঃ নারীর হৃদয় নয়, উৎস তার পুরুষের গোপন পৌরুষ। প্রণয়সংক্রান্তি আমার হৃৎপিণ্ড শুকিয়ে হলো কাঠ, যেমনতর চৈত্রের মাঠ-ঘাট। হে সুদূরতমা, তোমার দীর্ঘশ্বাসে- দারুণ খরায় যাচ্ছে  পুড়ে এই হৃদয়-রাজ্য-পাট। প্রার্থনা  এখন মানুষ হয়ে মানুষের কাছাকাছি থাকা বড় দায়, হে ইশ্বর বরং এই বর দাও- যেন পাখি হই, বৃক্ষের বুকেই আমার দিন কেটে যায়।  ©সায়্যিদ লুমরান  অঙ্কন:  ঋতুপর্ণা খাটুয়া  

ভালো থেকো নিশীথ অবশেষ — পর্ব ৫ : জয়দীপ চট্টোপাধ্যায়

Image
ভালো থেকো নিশীথ অবশেষ ৫ ম পর্ব:   ‘কী হল অপ্রতিম দা?’ অবাক হয়ে তাকিয়ে রইল টায়রা, অপ্রতিমের দিকে চেয়ে। হাতটা ধরার পর বেশ কয়েক পা চুপচাপ ছিল অপ্রতিম, কথা বলছিল না। টায়রাও নীরবেই পা বাড়াচ্ছিল। ভাবছিল-- মানুষটার সঙ্গে এমন নীরবে হাত ধরে হাঁটাও একটা ভালোলাগার মুহূর্ত হয়ে থাকুক। সব সময়ে কিছু বলাও তো জরুরি নয়! নেচার পার্কের নিরাপদ অঞ্চলে ক্যাম্পিং এবং ফরেস্ট-ট্রেকিং করতে গিয়ে সবার আগেই যা অনুভূত হয়... তা হল 'তোমরা প্রাথমিক ভাবে দুধভাত'। অভিজ্ঞতা আর প্রয়োজনীয় দক্ষতা ছাড়া এই নিরাপদ অঞ্চলের বাইরে যাওয়া সম্ভব না। এখানেই নিজেদের মত রোমাঞ্চ কল্পনা করে নিতে হয়... উপভোগ করে নিতে হয়। কেউ কেউ বুঝিয়েও দেয়, সাময়িক অ্যাড্রেনালিন রাশকে তৃপ্ত করার কোনো খেলা নয় গভীর জঙ্গলে প্রবেশ করা। 'যে অরণ্য  তোমার কাছে যতটা অপরিচিত, তুমি সেই অরণ্য এবং অরণ্যবাসীর কাছে তার থেকেও বেশি অপরিচিত'। এতক্ষণ, এই জ্যোৎস্না রাতে গ্রামের শব্দহীন পরিবেশে পথ চলতে চলতে হঠাৎ করেই সেই অরণ্যের যাপনের ঘ্রাণ পাচ্ছিল টায়রা। কষ্টকল্পিত মনে হচ্ছিল না। ঝিঁঝিঁ ডাক, দূরে কোথাও পেঁচার ডেকে ওঠা, মাথার ওপর দিয়ে কোনো রাত-চরা

অর্ঘ্য দীপের গুচ্ছ কবিতা

Image
অসময়ের বৃষ্টি অসময়ের বৃষ্টিতে কার যেন কান্না মিশে থাকে৷ শীতরাত্রির  ভিজে বাতাসে লেগে থাকে কী যেন একটা দুঃখ৷ এমন হাওয়ায় অসুখী কোনও প্রেত ঘুরে ঘুরে বেড়ায় আর অদ্ভুত সুরে গান গায়। প্রথমবার মন ভেঙেছে যে কিশোরীর, সেই গান শুনবে বলে সে বারান্দায় এসে দাঁড়িয়ে থাকে একা৷ তার যে স্বপ্নগুলো কখনও সত্যি হবে না, নামহীন ফুল হয়ে ঝরে যায় প্রাচীন একটি বৃক্ষ থেকে৷ অসময়ের বৃষ্টিতে মিশে থাকে সেই ফুলের সুবাস৷ মায়াকথন দুঃখ-কষ্ট না থাকলে, কান্না না থাকলে, বুকের মধ্যিখানে বেশ খানিকটা শূন্যস্থান না থাকলে কি কবিতা লেখা যায়? যায় না৷ এক একদিন জানলার ধারে এসে বসে থাকি দীর্ঘসময়৷ ফোঁটা ফোঁটা বৃষ্টি পড়া দেখি৷ অনতিদূরে কয়েকটা গাছের সবুজ পাতা দমকা বাতাসে দুলতে থাকে৷ ভারী মনকেমন করা একটা সুর বেজে ওঠে ঘরের পুরোনো রেডিয়োতে৷ আমার রিটায়ার্ড বাবা শোনে সেই গান৷ অলস সময় বয়ে চলে তিরতির জলের নদীর মতো৷ অনেক করে চাওয়ার পরেও যে এলো না, সেই মেয়েটিকে সুদূর কোনও নক্ষত্রের ঠিকানা দিই৷ নিজেকে দিই মায়াজড়ানো এইসব শব্দের আড়াল আর এক জীবনের অনন্ত অপেক্ষা৷ ইচ্ছে হঠাৎ হঠাৎ ইচ্ছে হলে তোমার কথা ভাবি কোথায় যেন লুকিয়ে আছে অলীক মৃগনাভি সেই