অয়ন হালদারের পাঁচটি কবিতা



বিষণ্ণ ফুলের জার্নাল

নীল মাটির শ্বাস ছুঁয়েছে যে রামধনু
তার সমর্পিত দৃষ্টি আজ রঙিন স্রোত
যেন
সদ্য বেড়ে ওঠা বনফুল সে
হারিয়ে যাবে বিভুঁই…

এসব হিসেব কষতে কষতে ঘুমিয়ে পড়ি আনমনে
উঠে দেখি
আমার টেবিলে ছড়ানো রক্তশূন্য থিসিস



ভ্রান্তি

যতদূর যাই
ষড়যন্ত্রী ডোলড্রাম থিতিয়ে রাখে
বলে,
ওই দ্যাখ
তোর চোখে বিঁধে আছে ছদ্মবেশী মাটি



শৃঙ্খল

শ্রান্ত উপত্যকায় ঢলে পড়ে বিনুনি তোমার

জানি
পাল্টে যাবে দুটি শ্বাপদের ইচ্ছে

শৃঙ্খলে মিশে যাবে চাঁদের কলঙ্ক


কবি

ভেসে ওঠে মেঘের এস্রাজ। কণ্ঠ নীর। জীবন এরকমই। মলিনযাপন ও স্থাপত্যহাসি বহন করে যে  নদী,তাকে ছেড়ে দিও না। জেনো, নিভৃতকুঠির ভেঙে বয়ে চলা কবিতা সে। সে জানে, মেঘ কতটা কান্না বইতে পারে বিয়োগবিধুর মেয়ের মত। আমাদের বাড়ি নেই। তাসের জানালা আসে শুধু। যা দিয়ে প্রবাহমান জোনাকি উঁকি দ্যায়। দ্যাখে ভাস্কর’এর শব্দের কংক্রিট।


ভয়ংকর কাগজের স্নেহ

সাহসী সুতোর বংশধর ঢলে পড়ে আবহমান ধারার বুকে

দ্যাখো 
গোধূলিমাখা রাখালের সখা
আমাদের পথের শেষ নেই
সিমাহীন সে

উড়ে আসে চণ্ডালের স্নেহ

ভয় পেও না
জানি তৃষ্ণায় জ্বলছে তোমার কণ্ঠ 

গান গাও
আর উড়িয়ে দাও 
চাদরে মোড়া মাংসপিণ্ড 

© অয়ন হালদার
অঙ্কন : শাশ্বত বন্দ্যোপাধ্যায়










Comments

Popular posts from this blog

অনিন্দ্য সরকারের গুচ্ছ কবিতা : গান ছুঁয়ে ছুঁয়ে

মুন্নী সেনের গুচ্ছ কবিতা : সম্বোধন