ঋতুপর্ণা খাটুয়ার তিনটি কবিতা

|| প্ররোচনা || 

দীর্ঘদিন আমি আলো খাইনি। উড়ে যাইনি পাখার ব্লেডে চেপে। আত্মগত থেকেছি লাউএর খোলে, বেঘর হলাম একতারাটি যখন বেজে উঠলো। শামীম আমার জামাতে চুপ করে বসে থাকে। ওর মিলিয়ে যাওয়ার বড় তাড়া নেই। 

ঘাসের বুকে মোটা স্তরের জল জমেছে। নেবুলাইজেশনের ফুরসৎ কই! উঠোনের প্রথম সিঁড়িতে শ্যাওলা ভীড় করেছে কোনও শবদেহের পায়ের স্পর্শ পাবে বলে। 

এসো, ঘরকুনো অন্ধকার সিঁড়ি, চোখের নীচে জমা কালো দিয়ে টিপ এঁকে দিই, তোমার উপরে উঠে যাওয়ার পথে কারোর নজর আমি বরদাস্ত করবো না।



|| তুয়ভ্যমহং সম্প্রদদে ||


        ...দান স্বরূপে 
তোমাকে আমি আমার
সালংকারা কন্যাকে দিলাম। 

বহুকাল আগে
নিজের স্বত্ব বিসর্জন দিয়ে
কর্ণ দান করেছিলেন কবচকুণ্ডল। 

এভাবে সমস্ত দুহিতার
পিতারও একসময় অক্লেশে
আত্মাভিমানী সূর্যপুত্র হওয়ার
           সাধ জাগে।




|| সুর মণ্ডল ||

তোমায় সামনে বসিয়ে, অবেলায়।
আঙুল আউড়ে গেয়েছি তানপুরায়। 

ভূপালী রাগের বন্দীশ।  আমি রাত্রির প্রথমার্ধ। 
তুমিও রেওয়াজ। ভোরে...আলাহিয়া বিলাবল। 

কেন ভেসে গিয়ে ক্ষীণ হলে! ঘরময় এখন আবহ। 
বলো কোন রাগে গাইবে গান! ত্রিনয়নী বিল্বদল। 

অবরোহণে আমায় পাঠাবে সরগমে কোমল সা তে! 

সব নিয়ে, আমি গলা ছেড়ে বেরোবো কোন পথে! 

তোমার গলা ভীষণ মনে পড়ছে, প্রিয়
ভোর হওয়ার আগেই তাই গান শুনিও।


অঙ্কন : ঋতুপর্ণা খাটুয়া

Comments

Popular posts from this blog

অনিন্দ্য সরকারের গুচ্ছ কবিতা : গান ছুঁয়ে ছুঁয়ে

অয়ন হালদারের পাঁচটি কবিতা

মুন্নী সেনের গুচ্ছ কবিতা : সম্বোধন