কবিতা-বিরোধী ফতোয়া ও বিরুদ্ধ-ফতোয়া : তন্ময় ভট্টাচার্য
কবিতা-বিরোধী ফতোয়া ও বিরুদ্ধ-ফতোয়া সংবাদমাধ্যমে বা অন্যত্র মাঝেমধ্যেই চোখে পড়ে— ‘অনুভূতিতে আঘাত লাগায় অমুকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের।’ বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই তা ব্যক্তিগত নয়; সর্বজনীন কোনো-কিছু নিয়ে উষ্মাপ্রকাশ। মনে পড়ে ‘অনুভূতি’ শব্দটার বিকৃত রূপ ও বন্ধুদের হাসিঠাট্টাগুলো। আর এই আঘাত— কীভাবে এসে লাগে? কথায়-কথায় এত আহত হন কেন সকলে? ইয়ার্কি ছেড়ে কাজের কথায় ফিরি। ধর্ম বা যৌনতা নিয়ে অনুভূতিতে আঘাত ও তা নিয়ে মামলা দায়ের এখন এ-দেশে জলভাত। রোজই কোনো-না-কোনো বিষয় নিয়ে এসব ঘটেই চলেছে। ভাগ্যের বিষয়, বাংলা কবিতার দিকে তেমন অভিযোগ খুব একটা ধেয়ে আসেনি। আসেনি কি? সাম্প্রতিক অতীতে শ্রীজাত-র একটি কবিতা নিয়ে আক্রোশ-আক্রমণ দেখেছি আমরা অনেকেই। মাসকয়েক আগে বাংলাদেশে সরকারি কর্মী হয়ে সরকারের বিরুদ্ধে কবিতা লেখায় চাকরি খোয়াতে হয়েছে রহমান হেনরীকে। গত অর্ধশতাব্দীতে বাংলাদেশে উদাহরণ হিসেবে পাব দাউদ হায়দারকে, কবিতায় ‘ধর্মীয় অনুভূতি’কে আঘাত দেওয়ার অপরাধে যিনি দেশছাড়া। আরেকটু পিছিয়ে গেলে হাংরি জেনারেশন— বিশেষত মলয় রায়চৌধুরী। এগুলো তাও বৃহৎ-আলোচিত বিষয়, যা প্রশাসন অবধি গড়িয়েছে। এর বাইরেও কত কবিতার উদাহরণ অতীতে