ভালো থেকো নিশীথ অবশেষ —পর্ব ৭: জয়দীপ চট্টোপাধ্যায়
ভালো থেকো নিশীথ অবশেষ —পর্ব ৭: হাসপাতাল অথবা মাল্টিস্পেশ্যালিটি ক্লিনিকের অস্বস্তিকর চেয়ারগুলোতে বসে বসে ঠাঁয় অপেক্ষা করে যাওয়া... অন্য কারো দেরি করে যাওয়া, দায়িত্বজ্ঞানহীনতা-- এই সব কিছু সহ্য করতে থাকা... সময় ছাড়াও আর কী কী মূল্যহীন হয়ে গেছে, মূল্যহীন হওয়ার তালিকায় চলে যাচ্ছে দ্রুত-- এইসব ভাবতে ভাবতে আবার সচেতন অপেক্ষার উদ্বেগে ফিরে আসা। এই অভিজ্ঞতা আর এইসবের মধ্যে দিয়ে যাওয়ার ব্যাপারটাকেই ঘৃণা করে কৃষাণু। চিকিৎসা ব্যাপারটাই যে কত বড়ো বিরম্বনা হয়ে গেছে মানুষের কাছে, তা হাতেকলমে বুঝে নেওয়া যায় এভাবে নাকাল হতে হতে। চুপচাপ হজম করে যেতে হয়, কাজটা উদ্ধার করতে হবে। লেকচার অনেকেই দেবে, কিন্তু এগিয়ে এসে কাজটা করে দেবে না। ছোটোবেলায় একরকম দেখেছে, এখন আরো বেশি করে দেখছে। বাবাকে নিয়ে কম ছুটোছুটি করতে হয়নি। মা-কে নিয়েও বছরে দু-তিনবার যাওয়া-আসা লেগে থাকে। অন্য কত জন আরো খারাপ পরিস্থিতির মধ্যে আছে, তাও তারা ভেঙে পড়ছে না... ফ্রাস্ট্রেটেড হয়ে নিজের মানসিক শান্তি নষ্ট করছে না-- এটাই একমাত্র অপ্টিমিস্টিক থাকার মন্ত্র এখন। যদিও কেউ রিয়েলিস্টিক হয়, তার পক্ষে কোনো মতেই এসবের মধ্যে যুঝতে যুঝ