সুবর্ণকান্তি উত্থাসনীর তিনটি কবিতা
(১)
নইলে কেমনে
যা কিছু ছলনা এবে
বশীকরণ স্বত্ত্বাস্থানিক বিচ্ছিন্নতা
অস্তুতমাত্রে শালিক
তথাপি ব্রহ্ম একক দৃশ্যের ক্লিন্নতা
অথচ অনন্যোপায়
ভোরের অর্ঘ্য ছিনিয়ে পিঁড়িতে আসীন
নববধূ কুলীনের কৌমদীসঙ্কাশ
নইলে কেমনে আর রাতের মহসিন
(২)
সঞ্জীবনী
ক্লিন্ন রোদ্দুরে যে ব্যবধান কমিয়ে আনতে চাই
তার ব্যাস আমার পৌঢ়ত্বের ছায়ার থেকে বড়
ওই ক্ষুদ্র প্যাকিং বাক্সের মধ্যে অনায়াসে
গলে যেতে পারি বলে
যখনই বড়াই করেছি অকারণ
চিতাকাঠের ক্ষেত্রফল মনে পড়েনি
অবশেষ রুজি কাম
নতজানু স্বেদ পুঁজি
এইভাবে বর্ণাশ্রমে বিভাজন করবার আগে
অনভ্যস্ত গণিকার মত নগরীর রাজপথে
আমার ধমনীর স্পন্দন থেঁতে
খইয়ের মত ছড়িয়ে গেছে যূথবদ্ধ শ্বাপদ
আমি সোল্লাসে কোলাহল জুড়েছি
স্ন্যাপ ড্রাগণ স্ন্যাপ ড্রাগণ
যখন তুমি এসে বসেছ
বসেছ আড়ষ্ট
চোখের পাতায়
মনে হয়েছে অচেনা বর্ণমালা
তুমি যাকে ছাই বলো আমি তার
পলকা ছুঁয়ে উত্তাপ ঠাওর করেছি
(৩)
আবহমান
একটি কিরিচবিদ্ধ রক্তাক্ত হাঁসের শরীরের পাশে এসে বসেছে ব্যাধ
আসুরিক উল্লাসে ছাড়িয়ে ফেলে পালক একটি একটি করে
আহঃ কত রক্ত কত রক্ত বলে ওরা শিউরে উঠেছিল
কুমারীদের সেখানে বলি দেওয়ার প্রথা ছিল একদিন
আত্মা মানেনা স্বর্গীয় সমর্পণ ফলত মুকুরে দ্রষ্ট রক্তের স্বাদ উদাসীন
পাকানো মন্ত্রের মধ্যে এ আক্ষেপ রেখে যায় ভূমিষ্ঠ শিশুকন্যা
তার কচি যোনিতে অতীত ক্ষত জ্বলজ্বল করছে
Comments
Post a Comment