Posts

Showing posts from August, 2023

ভালো থেকো নিশীথ অবশেষ : পর্ব ১৫ — জয়দীপ চট্টোপাধ্যায়

Image
ভালো থেকো নিশীথ অবশেষ : পর্ব ১৫ যেখানে প্রশাসন, পুলিশ, রাজনৈতিক নেতা আর সমাজবিরোধীরা মিলেমিশে ঝালমুড়ির মত এক ঠোঙায় থাকে... সেখানে  আলাদা করে অপরাধ আর অপরাধীকে শনাক্ত করার ব্যাপারটাই খুব গোলমেলে হয়ে যায়। এই নিয়ে কোনো পলিটিকালি কারেক্ট স্ট্যান্ড নেওয়ার মানেই হয় না। আজকাল তো আর কিছু রাখঢাক নেই। লাইভ ক্যামেরার সামনেই বুক চিতিয়ে যা করার করে যায় লোকজন। প্রজন্মের পর প্রজন্ম অপরাধ করেও কারো বিরুদ্ধে কোনো এফআইআর অবধি হয়নি। কেউ ঠাকুর, কেউ ব্রাহ্মণ, কেউ মাহান্ত, কেউ জেলা প্রশাসক... একটা লাইসেন্স আছে এদের নিজের ইচ্ছে মত চলার। এবং আইনকে কাঁচকলা দেখিয়েই জীবন কাটিয়ে দেওয়ার। আগেও হত, এখন প্রকাশ্যে সমর্থন এবং বাহবাও জুটে যায়। বাস্তব থেকে সিনেমায় ওয়েব-সিরিজে উঠে এসে, অপরাধ আর অপরাধীরা মনোরঞ্জনের মালমশলা হয়ে গেছে। তাদের ভাষা আর কাজ-কর্ম দেখে হাসছে শহরের দর্শক। কানে বন্দুক ঠেকিয়ে কারো প্যান্ট ভিজিয়ে দেওয়া দেখে হাসি পাচ্ছে। থার্ড ডিগ্রি দেওয়া দেখে হাসি পাচ্ছে। ভুল সময়ে ভুল জায়গায় এসে পড়ে মার খাওয়া বা মরে যাওয়া দেখে হাসি পাচ্ছে। সবার ওপরে ক্ষমতাশালী পরিবারদের দাপট উজ্জ্বল হয়ে উঠছে চোখ-মুখ। কী সহ

ভালো থেকো নিশীথ অবশেষ : পর্ব ১৪ — জয়দীপ চট্টোপাধ্যায়

Image
ভালো থেকো নিশীথ অবশেষ : পর্ব ১৪ জমিদার বাড়ির এই অংশটি একটু অন্যরকম, অন্য দিকের অংশের থেকে চার-পাঁচ ধাপ সিঁড়ি বেয়ে নীচে নেমে আসতে হয়। একসময়ে নাকি গুমঘর ছিল। অথচ এখন রেনোভেট করে অন্যরকম করে দিয়েছে। দিনের বেলা এলেও একটা রহস্যের গন্ধ পাওয়া যায়, ঘরের দেওয়ালগুলো কেমন ঠান্ডা। এরা ইচ্ছে করেই অল্প পাওয়ারের আলো রেখেছে ঘরের এক একটি দেওয়ালে। ঘরটা এখন বদলে গিয়ে রিক্রিয়েশন রুমের মত করা হয়েছে। একদিকে ছোটো ফ্রিজে ঠান্ডা পাণীয় আর নানা রকম বিয়ার, তালা বন্ধ থাকে। সার্ভিসে থাকা স্টাফদের বললে অর্ডার মত আনিয়ে দেয়। আর একদিকে বসে থাকার মত কাউচ, বেতের চেয়ার, ছোটো টেবিল। বইয়ের তাকে পাতলা পাতলা কিছু বই। দুটো কাঠের দাবা খেলার টেবিল-বোর্ড, যেখানে চা-কফির কাপও রাখা যায়। কার্ড গেম খেলারও ব্যবস্থা আছে। অল্পসংখ্যক কিছু জনের এক বিচ্ছিন্ন রিক্রিয়েশন রুমের মত, কিংবা coquette's lounge। কিন্তু নো-স্মোকিং জোন। এসির মাধ্যমে ঘরের তপ্ত বাতাস বাইরে বার করে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। আসলে ঘরটায় ঢোকার একটাই দরজা, কোনো জানলা নেই। অন্য কোনো দরজাও নেই। ঘরের  ছাদটাও তুলনায় একটু খাটো।        অতিথিদের কেউ রাতে এদিকে আসে

অনিন্দ্য সরকারের গুচ্ছ কবিতা : গান ছুঁয়ে ছুঁয়ে

Image
গান ছুঁয়ে ছুঁয়ে           ১.তোমার আনন্দ আমার পর      ‘তাই তোমার আনন্দ আমার পর' এ কথা বলে তুমি থেমে গেলে। সেই থেকে তানপুরার মতো সুর তুলে কেটে যাচ্ছে দিন চাঁদের থেকে ঝরে পড়ছে রাত। এমনকি অমাবস্যার ঘোর অন্ধকারে আমার দুঃখরা সব বেমালুম জোনাকির ভাষ্য শিখে নিল।  আমার মধ্যে যে আমি তাকে তুমি ভালোবাসার আসন পেতে বসিয়ে রেখেছো তোমার পাশে। ২. শূন্য এ বুকে      আমি দুঃখ আড়াল করতে পারি না কষ্টপাথরকে চেপে রেখে ক্ষয়ে ক্ষয়ে নিঃশেষ করতে পারি নি কোনোদিনই..  দীর্ঘশ্বাসে হাহাকার উঠে আসে।  তখনই কে যেন গেয়ে যায় ‘শূন্য এ বুকে পাখি মোর আয় ফিরে আয়' আমি চিৎকার করে কেঁদে উঠি ঠিক যেন নজরুলগীতি।  ৩. আমি অকৃতি অধম      রাত গভীর হলে আমরা ব্যস্ত হয়ে উঠি চাওয়া-পাওয়ার হিসেব করতে বসি পাওয়ার চেয়ে চাওয়ার পাল্লা ভারী হয়ে ওঠে।  হিসেব মিলতে চায় না কিছুতেই।  হঠাৎ জোৎস্নার আলো গায়ে এসে পড়ে শীতল হাওয়া যেন মনকে শান্ত করে দেয় ঠিক তখনই রজনীকান্তের গান মনে পড়ে ‘আমি অকৃতি অধম বলেও তো কিছু কম করে মোরে দাওনি' সব হিসেব যেন সহজেই মিলে যায়।  ৪. একা মোর গানের তরী      চড়াই-উতরাই, ঝড়-ঝাপটা পেরিয