শুভদীপ রায়ের গুচ্ছ কবিতা
চিরায়ত প্রতি নিঃশ্বাসে বিক্ষত করে, চিরুনি তল্লাশি থামিয়ে, যদি মেঝেভর্তি আঁকিবুঁকি স্পষ্ট করার চেষ্টা কর, তবে জেনে রাখো এই মুহূর্তে আমি বিদ্রোহ জানালাম। তোমার সব গন্ধ-বর্ণ-ছন্দ সবটুকু ভুলে যাওয়ার আগে আমাদের শেষবার দেখা হওয়া জরুরি ছিল; কিন্তু এই পার্থিব বীতরাগ আমি ঘৃণা করি আর ঘৃণা করি তোমার চুলের আড়াল পেরিয়ে- তোমার ঠোঁটের কাছে পৌঁছানোর পথে সব বহুব্রীহি অনুজ্ঞা। তবু এসব নিরর্থক দৈন্য আমি বয়ে চলি রোজ, আর অবজ্ঞাপ্রতি একটি গোলাপচারা পুঁতে যাই পৃথিবীর বুকে, যাতে, তারা গোনার অছিলায় তোমার সন্ততিদের আমার স্পর্শটুকু স্বীকার করতে হয় প্রতিক্ষণ। শৃঙ্গার চোখে চোখ, আঙুলে আঙুল- শব্দময় পৃথিবীর দূরতম বাতিঘরে আলো নিভে এলে, ভালোবাসা নেমে আসে সমুদ্রের বুকে। যেটুকু আড়াল করে দিশাহীন স্বপ্নেরা মুড়ে ফেলে গোটা মহাকাশ, তার পাশে দেশকাল থমকে দাঁড়ায়; এলো চুলে এলোমেলো ভাবনারা লুকোবার ছলে ইশারায় ডেকে নেয় পূর্বকল্প শেষে, উপোসী বাঁশির শব্দে শ্রীমতীর মতো তারা ভুলে যায় শরীরী খেয়াল- সবটা গুলিয়ে গেলে আরেকটু আড়ালে, মুছে যায় পিছুটান যত… নৌকাবিহারে শুধু নিষিদ্ধ চাঁদ আর চোখে চোখ, আঙুলে আঙুল।